9 Dec 2015

2 Dec 2015

8 Oct 2015

বাবা পদে পদোন্নতি

বাবা পদে পদোন্নতি

জানুয়ারি, ২০১১। হটাৎ করেই আমাকে পাঠানো হয় হরিয়ানে। দীর্ঘ দেড় বছর যাবৎ হরিয়ান ইউনিয়নের অলি-গলি, রাস্তা-ঘাটে সাইকেল নিয়ে ঘুরেছি। কত শত মানুষের সাথে পরিচিত হয়েছি। কত বাড়ি খেয়েছি, কত বাড়ি থেকেছি তার কোন ইয়াত্তা নেই। অনেকের সুখ-দুঃখের সাথী হয়েছি। একটি মুখ দূর থেকে দেখতাম, মন টানতো তার দিকে। কিন্তু এক অপ্রকাশিত কারণে তার কাছে যেতে পারতাম না। এখন আর কোন বাধা নেই। মাঝেমধ্যে বেড়াতে গেলে তার সাথে দেখা হয়, মন ভরে কথা হয়। গত কয়েক দিন আগে তিনি এক কন্যা সন্তানের জনক হয়েছেন। সে উপলক্ষ্যে কন্যার জনক ও জননীকে দুইটি শুভেচ্ছা কার্ড দিয়েছিলাম। সেখানে যা লেখাছিল............................

12 Sept 2015

ছাত্রদের নিয়ে রাজনীতি : হয়রানির শেষ কোথায়?

ছাত্রদের নিয়ে রাজনীতি : হয়রানির শেষ কোথায়?
ওয়াহিদ জামান

ক্যাম্পাসে থেমে থেমে ককটেল বিস্ফোরণ হচ্ছে (http://www.campuslive24.com/campus.104477.live24/

) ক্লাস টাইমে, রাত্রিবেলা বিস্ফোরণ হচ্ছে আবাসিক হল গুলোর আশেপাশে (http://www.campuslive24.com/campus.104445.live24/

), সরকারি দলের ছাত্রসেনারা মারধর করছে সাধারণ ছাত্রদের (http://www.campuslive24.com/campus.104483.live24/

), পুলিশ সন্দেহের অযুহাতে ধরে নিয়ে যাচ্ছে নির্দোষ ছাত্রদের (http://www.campuslive24.com/campus.104488.live24/

), এমনকি ১ম বর্ষের ছাত্রদেরকে তাদের ক্যাম্পাস জীবনের ১ম দিনেই (উদ্ভিদবিদ্যা, ৪জন - ০৩/০২/২০১৫) ধরে নিয়ে গেছে পাগলা পুলিশ, ক্রসফায়ার নাটকে নিহত হচ্ছে সর্বোচ্চ পর্যায়ের (মাস্টার্স - ক্রপ সায়েন্স, ০৫/০২/২০১৫) ছাত্র।

বিশ্ব নারী দিবস : মায়ের অধিকারের বাস্তবায়ন কোথায়?

বিশ্ব নারী দিবস : মায়ের অধিকারের বাস্তবায়ন কোথায়?
ওয়াহিদ জামান


আজ ৮ মার্চ। বিশ্ব নারী দিবস।
নারী সমাজের জন্য দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। নারীর প্রতি সম্মান জানিয়ে ১৯৮৪ সালে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ঘোষণা করে জাতিসংঘ। ঐতিহাসিক সংগ্রামের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘ এ সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু আজও সামাজিক ভাবে মূল্যায়ণ পায়নি আমার মায়েরা। এজন্য পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও কম দায়ী নয়। তারা নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন নয়। কোনটা অধিকার আর কোনটা দায়িত্ব সেটাই তারা বুঝেনা। দয়া, মূল্যায়ণ-অবমূল্যায়ন এগুলোর পার্থক্য করতে পারেনা। তাই তাদের উদ্দেশ্যে আমার ছোট্ট এই লেখা।

ছড়ানু-২

ছড়ানু-২
ওয়াহিদ জামান

কয়জনকে থামাবে তুমি
আর কত জন মারবে,
ফাঁসি দিয়ে আদর্শকে
থামাতে কি পারবে?

সুমাইয়ারা যুগে যুগে
জীবন দিতে পারবে,
আবু জেহেল লাহাবেরা
অবশেষে হারবে।

16 Aug 2015

ছড়ানু-১

ছড়ানু-১
ওয়াহিদ জামান

মাঝে মাঝে মাঝরাতে
আকাশের আঙিনাতে
খুঁজেছি তোমায়,

পাইনি চাঁদের দেশে
পাইনি তারার বেশে
ভুলেছো আমায়।

তুমি
ভুলেছো আমায়?

11 Aug 2015

4 Aug 2015

ছড়া: গাছ বন্ধু

গাছ বন্ধু
ওয়াহিদ জামান


জনে জনে লাগাও গাছ
বিলাও আরো দু’টি,
সুন্দর হবে পরিবেশ
জুটবে রুজি-রুটি।

ফলজ, বনজ, ঔষধি গাছ
রোপণ করো সবে,
সবুজ হবে চারিপাশ
কীর্তি তোমার রবে।

অকারণে আর কেটোনা
গাছ-গাছালী যতো,
সকাল সন্ধ্যা জপছে তারা
তাসবীহ অবিরত।

একটা কেটে দুইটা লাগাও
দরকার যদি পড়ে,
গাছই তোমার বন্ধু হবে
বিপদ-আপদ, ঝড়ে।

15 Jul 2015

প্রবন্ধ - সেই ঈদ এই ঈদ : সংস্কৃতির নামে অপসংস্কৃতি

 সেই ঈদ এই ঈদ : সংস্কৃতির নামে অপসংস্কৃতি

ওয়াহিদ জামান

‘প্রত্যেক জাতিরই আনন্দ উৎসব আছে, আর আমাদের আনন্দ উৎসব হলো দুই ঈদ।’ বিশ্বমানবতার মুক্তির দূত হযরত মুহাম্মদ স.-এর এমন ঘোষণার মাধ্যমেই দ্বিতীয় হিজরীতে ঈদ উৎসবের গোড়াপত্তন হয়। সেই ঈদ এখন বিশ্বের সবচেয়ে শুদ্ধতম আনন্দ উৎসবে পরিণত হয়েছে। ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। প্রতি বছর দুই বার এই আনন্দের জোয়ারে ভাসতে থাকে গোটা মুসলিম বিশ্ব। ঈদুল ফিতর পালন করা হয় শাওয়াল মাসের প্রথম তারিখে। পবিত্র রমযান মাসের পরিসমাপ্তির পর পশ্চিম আকাশে যখন ঈদের বাঁকা চাঁদ ভেসে ওঠে তখন ছোট-বড় নির্বিশেষে সকল শ্রেণির মুসলিমদের হৃদয়ে ঈদের আনন্দ দোলা দেয়। এ যেন নতুন কিছু প্রাপ্তির মহা আনন্দ। প্রকৃতপক্ষে রমযানের কঠোর সাধনা, ইবাদত-বন্দেগী ও রোযার প্রতিদান স্বরূপ মহা পুরস্কার ঘোষণার দিন হচ্ছে এ আনন্দময় দিন। আর জিলহজ্ব মাসের দশ তারিখে পালিত হয় ঈদুল আযহা। মহান আল্লাহ তা’লা হযরত ইব্রাহিম আ.-কে অসংখ্যবার পরীক্ষা করেছিলেন। একবার তিনি তাঁর প্রিয় পুত্র ইসমাইল আ.-কে কুরবানী করার জন্য স্বপ্নযোগে আদিষ্ট হন। তিনি যখন ইসমাইলকে কুরবানী করছিলেন তখন ফেরেশতা মারফত তাকে সরিয়ে দুম্বা কুরবানী করানো হয়। সেই স্মৃতিকে ধারণ করে এ দিনে ঈদুল আযহা তথা কুরবানীর ঈদ পালন করা হয়।

ইসলামে দুই ঈদের গুরুত্ব ও মর্যাদা সমান। তবে ঈদ শব্দটি উচ্চারণ করার সাথে সাথেই আমাদের মানসপটে যে ঈদের চিত্র ভেসে ওঠে তা ঈদুল আযহার নয়, ঈদুল ফিতর তথা রোজার ঈদের। কারণ, ঈদুল ফিতর অনেক দিন পর আসে এবং এটি শুধু একটি দিনের ঈদ নয়, যেন পুরো এক মাসের ঈদ। আর ঈদ শব্দটি কখনো একা আসে না, সাথে নিয়ে আসে স্মৃতির সুমুদ্দুর। ঈদের আগের দিন সন্ধ্যায় হৈ-হুল্লোড় করে চাঁদ দেখা, ঈদের দিন ফজরের নামাজের পর সবাই মিলে ঈদগাহ সাজানো, ফুল টানানো, রং লাগানো, পুকুরে যেয়ে হল্লা করে গোসল, নতুন জামা কাপড় পরে আতর মেখে ঈদগাহে নামাজ, নামাজ শেষে কোলাকুলির হিড়িক, কবর জিয়ারত, বাড়ি বাড়ি ঘুরে খাওয়া-দাওয়া, বিকাল হলে মা-বাবার সাথে নানা বাড়ি যাওয়া, আরো কত কী। এরকম স্মৃতির কোন শেষ নেই। প্রত্যেকের জীবনের প্রত্যেক ঈদই যেন স্মৃতির নক্ষত্র খচিত আকাশ।

১৪৩৬ বছর আগে। তখন আরবের মানুষের দ্বারে দ্বারে ইসলামের সুমহান বাণী পৌঁছে দিচ্ছিলেন মহামানব হযরত মুহাম্মদ স.। এক পর্যায়ে মক্কার কুরাইশরা বুঝতে পারলো- এটা মানবতার জন্য কল্যাণকর হলেও তাদের কর্তৃত্ব বা রাজত্বের জন্য হুমকি। ফলে তারা ইসলামের অনুসারীদের উপর শুরু করলো অসহ্য নির্যাতন। নির্যাতনের মাত্রা দিনকে দিন বাড়তে থাকলো। জীবন ধারণ করা অসম্ভব হয়ে উঠলো রাসুল স. ও সাহাবায়ে আজমাইনদের। অগত্যা সিদ্ধান্ত হলো- হিজরতের। জমি-জমা, ধন-সম্পদ, ঘর-বাড়ি সব ছেড়ে পাড়ি জমালেন মদীনায়। অন্যের জমিতে বসবাস করতে থাকলেন সবাই। জাগতিকভাবে বলা যায় কষ্টেই ছিলেন তাঁরা। সুখ-শান্তি-আনন্দ ছিল তাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। মদীনাবাসীরা তখন শরতের পূর্ণিমায় নওরোজ এবং বসন্তের পূর্ণিমায় মিহিরজান নামে দু’টি উৎসব পালন করতো। উৎসব দু’টি প্রথমে ৬ দিন ব্যাপী এবং পরবর্তীতে ৩০ দিন ব্যাপী পালন করা হতো। নওরোজ ছিল নববর্ষ বরণের উৎসব। মিহিরজান ছিল পারসিকদের অনুকরণে আনন্দ উৎসব। জাহেলী ভাবধারা, স্বভাব, প্রকৃতি ও ঐতিহ্যানুযায়ী এ দু’টি উৎসব উদযাপিত হতো। অশালীন আনন্দ-উল্লাস, কুরুচিপূর্ণ রঙ-তামাসা ও হৈ-হুল্লোড় হতো এসব অনুষ্ঠানে। সমাজের বিত্তশালীরা নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়ে এ উৎসব পালন করতো। নারী-পুরুষের অবাধ মিলনকেন্দ্র ছিল এসব উৎসব। রাসূলুল্লাহ স. এসব আনুষ্ঠানিকতা দেখে দারুণভাবে ব্যথিত হন এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি মদীনাবাসীদেরকে এসব অশালীন অন্তঃসারশূন্য ও লক্ষ্যহীন উৎসব পালন করা থেকে বিরত থাকার আহবান জানান। এর পরিবর্তে তিনি স্বমহিমা ও নির্মল আনন্দে ভাস্বর পবিত্র স্পর্শমণ্ডিত বহুবিধ কল্যাণধর্মী ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা নামে দু’টি উৎসব পালনের জন্য নির্ধারণ করে দেন। সেদিন থেকে জাহিলিয়াতপূর্ণ ইসলাম পরিপন্থী নওরোজ ও মিহিরজান উৎসব চিরতরে বন্ধ করা হয় এবং তদস্থলে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উৎসবের প্রচলন করা হয়। এ সম্পর্কে হাদীস শরীফের ভাষ্য হলো, “আনাস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- নবী করীম স. যখন মদীনায় উপস্থিত হলেন, তখন তিনি দেখতে পেলেন মদীনাবাসীরা (যাদের মধ্যে বিপুল সংখ্যক লোক পূর্বেই ইসলাম গ্রহণ করেছেন) দু’টি জাতীয় উৎসব পালন করছে। আর এ ব্যাপদেশে তারা খেল-তামাসার আনন্দ-অনুষ্ঠান করছে। নবী করীম স. তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা এই যে দু’টি দিন উৎসব পালন কর, এর মৌলিকত্ব ও তাৎপর্য কি? তারা প্রতি উত্তরে বললো, ইসলামের পূর্বে জাহিলিয়াতের যুগে আমরা এ উৎসব এমনি হাসি-খেলা ও আনন্দ-উৎসবের মাধ্যমেই উদ্যাপন করতাম, এখন পর্যন্ত তাই চলে আসছে। এ কথা শুনে নবী করীম স. বললেন, আল্লাহ তা‘লা তোমাদের এ দু’টি উৎসব দিনের পরিবর্তে তদপেক্ষা অধিক উত্তম দু’টি দিন ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা দান করেছেন। অতএব পূর্বের উৎসব বন্ধ করে এ দু’টি দিনের নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানাদি পালন করতে শুরু কর।” (আবূ দাউদ, মুসনাদে আহমাদ)

নওরোজ-মিহিরজান আর আমাদের দুই ঈদের মধ্যে মূল যে পার্থক্য তা হলো- ওদের অনুষ্ঠান দু’টি ছিল অশ্লীলতায় ভরপুর আর ধনিক শ্রেণির জন্য পালনীয়। অপর দিকে আমাদের ঈদ হলো অশ্লীলতামুক্ত এবং ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান মুক্ত। প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করতে হয় যে, পৃথিবীর আর কোন ধর্মে কিংবা জাতি-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক উৎসবে মানুষের মৌলিক মানবাধিকারকে এমন গুরুত্ব দেয়া হয় না। অন্যান্য জাতি-গোষ্ঠীর উৎসবে অপেক্ষাকৃত ধনিক ও বণিক শ্রেণির মানুষের মনোরঞ্জনকেই প্রাধান্য দেয়া হয়। আর এই সব সাংস্কৃতিক আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিত্তশালীরা আরও বিত্তবান হয়।  গরীবেরা হয় আরও গরীব। গরীবেরা ধনীদের মনোরঞ্জন আর পুঁজি পুঞ্জায়নের ক্ষেত্রে সহায়ক মাত্র। অথচ ঈদ উৎসব গরীবদের সাথে নিয়ে পালন করাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ঈদুল ফিতরের নামাজের পূর্বেই তাদের পাওনা তথা ফিতরা আদায় করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর ঈদুল আযহায় তাদেরকে কুরবানীর গোশত দেয়া হয় ধনীদের পক্ষ থেকে। বলা যায়- ঝর্ণা যেমন পাহাড়ের উচ্চতা থেকে নেমে অপেক্ষাকৃত নীচু ও সমতল ভূমিতে ছড়িয়ে পড়ে; ঠিক তেমনি ঈদের মাধ্যমে বিত্তবানদের নিকট থেকে অর্থসম্পদ গরীব মিসকিনদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। অর্থাৎ অর্থনৈতিক বৈষম্য প্রশমিত হয় ও ক্রমান্বয়ে দূরীভূত হয়। যার প্রদর্শন আমরা দেখেছি খোলাফায়ে রাশেদার ৩২ বছরের শাসনামলে। সেখানে এমন একটি অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল যে, যাকাত নেয়ার মত উপযুক্ত কোন গরীব মিসকীনকে খুঁজে পাওয়া যেত না। এ হলো ইসলামী সংস্কৃতির সোনালী ইতিহাস। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, রাসুল স.-এর সেই অশ্লীলতামুক্ত ও ধনী-দরিদ্রের সেতুবন্ধনের ঈদ কি আমাদের সমাজে আছে?

বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. আব্দুর রহমান সিদ্দিকী তাঁর ‘অভিঘাতের মুখে ঈদ সংস্কৃতি : চাই নবজাগরণ’ শীর্ষক প্রবন্ধে আমাদের দেশে ঈদের নামে প্রচলিত অপসংস্কৃতির এক সুনিপুণ চিত্র এঁকেছেন সুন্দরভাবে। তিনি লিখেছেন, “এখন শোনা যাচ্ছে ঈদের নাটক, ঈদের নাচ, ঈদের গান, ঈদের কনসার্ট, ঈদের ফ্যাশন শো, ঈদের রেসিপি, ইত্যাকার বিচিত্র সব বিষয়ের কথা। ঈদের সাথে এসবের আদৌও কোন যোগসূত্র নেই। তবুও ঈদ উপলক্ষে এসব হাজির হয় কোটি দর্শকের সামনে। ঈদকে তার আপন মহিমা থেকে হটিয়ে ভিন্নতর এক মাত্রায় উপস্থাপন করা হয়। বিশেষভাবে নবীণ প্রজন্মের সামনে ঈদকে একটা হৈ-হুল্লোড়, রং-তামাশা, গান-বাজনা, গলাগলি, ঢলাঢলির উপলক্ষ হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টায় ব্যস্ত কতক মিডিয়া। তাদের বিবেচনায় ‘ঈদ মানে জোছনা রাতে হাস্নাহেনার গন্ধে’ ফষ্টিনষ্টি করার মাহেন্দ্র সুযোগ। ঈদ যে রমজানের শিক্ষা- সংযম, ত্যাগ ও তৌহিদী চেতনার পরিসীমার মধ্যে সম্পাদ্য একটি ধর্মীয় আচার ও ইবাদতের অংশ তা ভুলিয়ে দিয়ে নবীণ প্রজন্মকে ভিন্নদিকে ধাবিত করানো হচ্ছে।

ঈদ দীর্ঘ রমজানের শেষে, রোজা-ইফতার-ইতেকাফ বিশেষ ইবাদত বন্দেগীর সমাপ্তিতে, আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন ও আগামী এগারো মাস রমজানের ধারাবাহিকতায় চলার অঙ্গীকার শানিত করার দিন, তা ভুলিয়ে দেয়া হয় ঢোল-তবলা-বাঁশী বাজিয়ে, নাচে-গানে মাতোয়ারা করে। শাওয়ালের চাঁদ-ওঠার সঙ্গে সঙ্গে রমজানের মর্মবাণী ত্যাগের শিক্ষা, সংযম, শ্লীলতা প্রভৃতিকে ঝেড়ে ফেলে অধিকাংশ টিভি চ্যানেল যেন গাঝাড়া দিয়ে ওঠে। চটুল আমোদ-প্রমোদের নানা পসরা সাজিয়ে বসে। অনুষ্ঠান ঘোষিকা, উপস্থাপিকারা মুহূর্তে ঘোমটা ফেলে স্বরূপে নড়ে চড়ে ওঠে। অবিলম্বে নাটকের নামে, নাচ-গানের মাধ্যমে রমজানকে অস্বীকার করার, তার শিক্ষাকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য এরা সকলে যেন কোমর বেঁধে নেমে পড়ে। বিজ্ঞাপনদাতা সংস্কৃতিকর্মীরা যেন চাঁদ উঠবার ঘোষণার মুহূর্তটির অপেক্ষাতেই থাকে। ঘোষণার পর তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে দৃশ্যপটে। ত্রিশ দিনের সংযম-শ্লীলতার বাঁধ যেন সহসা ভেঙ্গে পড়ে, কত দ্রুত রমজানের বার্তাকে পরিহার করা যায়, তারই প্রতিযোগিতা বুঝি শুরু হয়। লাখো ডলার পাউন্ডের বস্তা নিয়ে বহুজাতিক কোম্পানীর লোকেরা দু’পায়ে খাড়া। দেশীয় কর্পোরেট হাউজগুলোও কম যায় না। মেয়েদের চুল চামড়া মনমত মেরামত করার, আরো কামাদ্র করে তোলার পসরা নিয়ে ওদের লালিত মডেল কন্যারা কলকলিয়ে ওঠে। উদ্বাহু হয়ে এগিয়ে আসে নায়িকা গায়িকা শিল্পী সেলিব্রেটিরা। চ্যানেলে চ্যানেলে ভাঁড়ামী নষ্টামি, প্রেমপীরিতি নিয়ে চলে মাতামাতি। রাজ্যের সব কথা-বার্তা, গান-বাজনা, রং-তামাশা চলতে থাকে নিশিদিন। শুধু বলা হয় না ইসলামের কথা, ইসলামী মূল্যবোধের কথা। ইসলামের শিক্ষা সংস্কৃতির বিষয়ে হয়না কোন আলোচনা। রমজানের প্রাপ্তি বা ত্রুটি বিচ্যুতির বিষয়ে কোন কথার্বাতা কেউ বলেনা। ইসলামের নবী রসুল ওলি আউলিয়াগণের প্রসঙ্গ কখনো তোলা হয় না। মুসলমানদের অতীত গৌরব গাঁথা, মুসলিম চিন্তাবিদ দার্শনিক বিজ্ঞানী বীর মুজাহিদ মহাকবি ধর্মতাত্ত্বিকদের ধ্যান জ্ঞান কর্ম বিজ্ঞান চর্চা, শিল্প সাধনার কথা, জয়-পরাজয়ের ইতিবৃত্ত কোথাও উচ্চারিত হয় না। সাম্প্রতিককালে বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের উপর চলমান হামলা ও ষড়যন্ত্রের কথা উচ্চারিত হয় না। অথচ হাস্যকরভাবে ‘ঈদের ৭ম দিন’ বলেও প্রোগ্রাম দেখানো হয়। তাতে কাতুকুতু দিয়ে মানুষকে জোর করে হাসানোর কারসাজি চলে। ঈদের দোহাই দিয়ে অভিনব নর্তনকুর্দন, মেটালিক মিউজিক, আজগুবি নাটক এবং নট-নটিনিদের বেলেল্লাপনার উন্মাদনায় মুহূর্তে রমজান, ঈদ কোথায় যেন হারিয়ে যায়। ঈদের পূতঃ পরিমার্জিত সাংস্কৃতিক প্যাটার্নের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, এমন সব বিষয় হাজির করে সাধারণ মানুষকে নানা উৎকট অশ্লীল ধাঁধাঁর মধ্যে ফেলা হয়। এক কথায় আয়োজনটা ঈদের নামে কিন্তু ইসলাম বা ইসলামী শিক্ষাদীক্ষা সংস্কৃতি সাধনা ও ইতিহাসের কোন কিছুই এর কোন উপজীব্য হয়ে ওঠেনা। আর নতুন প্রজন্মের কাছে এটা প্রতিপন্ন করার সূক্ষ্ম চেষ্টা চলছে যে, এসব রঙ্গতামাশা নাটক থিয়েটার নাচানাচি হচ্ছে ঈদের সংস্কৃতি, ঈদের অনুষঙ্গ।

একশ্রেণির সংবাদপত্রও কম যায় না। ঈদের আগে থেকেই ঈদের নামে বিজ্ঞাপন বাণিজ্যের বিপুল ফায়দা তোলে এরা। এরা সপ্তাহে সপ্তাহে বের করে রঙিন ক্রোড়পত্র। তাতে ডবগা মডেল মেয়েদের নানা ঢংয়ের উগ্র ছবি ছাপা হয়। শাড়ি চুড়ি রঙ্গীন চশমা লেহেঙ্গা আর বেহায়াপনার মহড়া দেওয়া হয় ঈদকে সামনে রেখে। আর শেষত কেউ কেউ বের করে কথিত ঢাউস ‘ঈদ সংখ্যা’। এরা ‘ঈদ সংখ্যা’ নামে যা ছাপে তাতে ঈদ বা ইসলামের কোন রেশ খুঁজে পাওয়া যায়না। বিরল ব্যতিক্রম ছাড়া ঈদের কোন আলোচনা, ইসলামের মহিমা সাধনা শিক্ষা দর্শনের কোন বিবরণ বর্ণনা এসব ঈদ সংখ্যায় থাকে না। আমাদের নতুন প্রজন্মের মগজে এহেন কলমি আবর্জনা ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে ঈদের নামে; ভুলিয়ে দেয়া হচ্ছে ঈদের মহিমা মহত্বকে।”

ঈদ নিয়ে বা ঈদের আনন্দ-ঊৎসব নিয়ে কথার তো শেষ নেই। তবে বাঙালি মুসলিমরা একটু বেশী মাতামাতি করে, অন্যদেশের মুসলিমরা এতো হইচই করে না। কিন্তু কেন? এর হয়তো অনেক ব্যাখ্যা আছে। সব ব্যাখ্যা বা সব জবাব হয়তো আমাদের জানা সম্ভব নয়। তবে এতটুকু আমাদের জানা দরকার যে, ঐতিহাসিক ও মানসিক কারণে বাঙালি মুসলিমরা ঈদকে বরাবর জাতীয় উৎসব এবং সার্বজনীন উৎসব হিসাবে পালন করে আসছে। কেউ উদ্যোগ নিয়ে ঈদকে জাতীয় বা সার্বজনীন বানায়নি। এটা হয়েছে সহজ, সরল ও সাবলীলভাবে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে।

আমরা সবাই জানি, হাজার বছর আগে আমাদের পূর্বপুরুষরা মুসলিম ছিলেন না। তাঁরা ছিলেন নানা ধর্মের অনুসারী। বিশেষ করে পৌত্তলিক বা সনাতন ধর্মের অনুসারী। সনাতন ধর্মে পালা-পার্বণের অন্তঃ ছিল না। বলা হয়ে থাকে- বারো মাসে তের পার্বণ। এখন অবশ্য সনাতন ধর্মে আগের মতো সে অবস্থাটি নেই। তবুও কম নেই। অবস্থাটা এমন যে, আনন্দ উৎসবের নামই যেন সনাতন ধর্ম। সে ধর্ম থেকে আমাদের সাহসী ও বীর পুরুষেরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। যাদের রক্তে ও মজ্জায় ছিল আনন্দ উৎসব, তারা তা ছাড়া বাঁচে কী করে? ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেও আনন্দ উৎসবকে আমাদের পূর্বপুরুষরা পরিত্যাগ করতে পারেননি। ফলে শুক্রবার, মহররম, রমজান, শবে মেরাজ, শবে বরাত, শবে কদর, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা থেকে শুরু করে ঈদে মিলাদুন্নবী, আখেরী চাহার শোম্বা, উরস, মিলাদ, এগার শরীফ, জলসা, খতনা, চল্লিশা ইত্যাদি ডজন-ডজন উৎসব মুসলিমরা নিজেদের জন্য বানিয়ে নিয়েছে। ধর্মের সাথে স্থানীয় রসম-রেওয়াজ এবং জীবনাচারকে তারা একাকার করে ফেলেছে।

ইসলাম স্থানীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে কখনো বাতিল করেনি। যা শুভ, কল্যাণ ও মঙ্গলময়, ইসলাম সেসবকে আদর ও সোহাগ ভরে ধারণ করেছে। ইসলাম শুধু দেখেছে, বিষয়টি আল্লাহর একত্বের সাথে সাংঘর্ষিক কি না এবং ধর্মে নতুন কোন প্রথা প্রচলন করা হচ্ছে কি না। এসব না থাকলে এবং বিজাতীয় অশ্লিল, নোংরা ও কুৎসিত বিষয় না থাকলে ইসলাম মানুষের স্বচ্ছ, সুন্দর এবং স্বাভাবিক প্রবণতার পথে কখনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। ইসলাম প্রকৃতির ধর্ম, স্বাভাবিক ধর্ম। সে কারণে বাঙালির উৎসব প্রবণতার পক্ষে ইসলাম বাধা সৃষ্টি করেনি। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে উৎসাহ জুগিয়েছে। আবহমান কাল ধরে বাঙালিরা উৎসবপ্রবণ, প্রাণবন্ত। উচ্ছল এবং উজ্জ্বল আনন্দ তাদের জীবনের উৎস। সুখ ও শান্তি তাদের নিত্যসঙ্গী। অল্পে তুষ্ট এ ব-দ্বীপের মানুষগুলো আনন্দের অনুসঙ্গ পেলে অনেকটাই বেপরোয়া হয়ে যায়। সে কারণেই আমাদের কাছে ঈদ এতো আনন্দের এবং এতো উৎসবের। তাই বলে অশ্লীল আর নিষিদ্ধ পথে তো পা বাড়ানো যায় না। কেননা, প্রত্যেকটি জাতি-গোষ্ঠীর আলাদা আলাদা আচার অনুষ্ঠান সে জাতির পরিচায়ক। এটা বলাই যেতে পারে দূর্গাপূজা দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায় কে চেনা যায়, বড়দিন দিয়ে খৃস্টানদের চেনা যায়, মাঘিপূর্ণিমার মাধ্যমে বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে চেনা যায়। এমনিভাবে ঈদ দিয়ে মুসলিমদের চেনা যায়। সুতরাং ঈদ উৎসব পালনে আমাদের সচেতন হওয়া দরকার।

পরিশেষে বলা যায়, আমরা যদি ইসলামের সুমহান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য লালন করে ঈদ উৎসব পালন করতে পারি, তবে বাস-ট্রেন-লঞ্চে হুড়োহুড়ি করে বাড়ি ফেরা সফল হবে। সফল হবে আমাদের ঈদকার্ড, সফলতা পাবে ঈদের এসএমএস আর ফেসবুকের স্ট্যাটাসগুলো। তাই কামনা করছি, ঈদ আমাদের ঘরে ঘরে বয়ে আনুক শান্তি ও সমৃদ্ধির স্পন্দন। ঐক্য, সংহতি ও ঈমানের আলোকোজ্জ্বল পথ ধরে আমরা যেন এগিয়ে যেতে পারি। ঈদের আনন্দ হোক সবার আনন্দ। সকল হিংসা-বিদ্বেষ মাটি চাপা দিয়ে চলে আসি ঈদগাহে আর মুখে মুখে জপতে থাকি ‘আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর,  ওয়া লিল্লাহিল হামদ্’।

#‎Eid‬, ‪#‎Zaman‬, ‪#‎EidulFitor‬, ‪#‎EidulAdha‬, ‪#‎Islam‬, ‪#‎Bangladesh‬, ‪#‎Article‬, ‪#‎Xaman‬, ‪#‎ঈদ‬, ‪#‎ঈদুলফিতর‬, ‪#‎ঈদুলআযহা‬, ‪#‎জামান‬

ছড়া: ঈদস্মৃতি

ঈদস্মৃতি
ওয়াহিদ জামান


ঈদের ঢাকা, ফাঁকা ফাঁকা
একলা শুয়ে আছি,
কল্পনাতে জল্পনাতে
অতীত চলে গ্যাছি।

সকাল হতে ঈদগাহেতে
থাকতো অনেক কাজ,
ফুল টানানো, রং লাগানো
হরেক রকম সাজ।

পুকুর জুড়ে ভেলায় চড়ে
গোসল করতো সবে,
মুরুব্বিরা বলতো এসে
মাঠে যাবে কবে?

নামাজ শেষে বাবা যেতেন
দাদার কবর পাশে,
আমি যেতাম সাথে সাথে
কবর দেখার আশে।

দু’হাত তুলে খোদার কাছে
কাঁদেন যারে যার,
বাজানরে মোর ক্ষমা করো
মাফ চাই বারে বার।

তারপর হতো বাড়ী বাড়ী
দিনভর খাওয়া-দাওয়া,
বিকাল হলেই মায়ের সাথে
নানার বাড়ী যাওয়া।

এখন যে আর সেই আনন্দ
পাইনা খুঁজে আমি,
আমার অতীত দাও ফিরিয়ে
ওগো অন্তর্যামী।

13 Jun 2015

ছড়া: কাণ্ডারি ফররুখ

কাণ্ডারি ফররুখ
ওয়াহিদ জামান


মাঝ দরিয়ায় ভাসছে তরী
ডুবছে মানুষজন,
মাঝি-মল্লা নেইকো সেথায়
কান্না প্রতিক্ষণ।

দিন পেরিয়ে রাত্রি আসে
পায়না তবু কূল,
আনাড়ি সব মাঝিগুলো
করছে শুধুই ভুল।

নীল দরিয়ার গর্জন শুনে
কাঁদছে শিশুর দল,
উদ্ধার করো - রক্ষা করো
আবেদন নিষ্ফল।

সাত সাগরে নাও ভাসাবে
কাণ্ডারি ফররুখ,
সেই আশাতে অপেক্ষাতে
আমরা যে উন্মুখ।

3 Jun 2015

ছড়া: সব ভালো - ভালো নয়

সব ভালো - ভালো নয়
ওয়াহিদ জামান


ভালোর পাশে মন্দ থাকে
সব ভালো - ভালো নয়,
চক্ষু কর্ণ খোলা রেখে
সাবধানে চলতে হয়।

বাড়ির পাশে রাস্তা থাকলে
চলতে ফিরতে ভালো,
চারিপাশে থাকলে তবে
ভরবে ঘরে ধূলো।

বিজ্ঞ জনের পরামর্শ
অনেক কাজে লাগে,
বেশি হলে বিরক্তিতে
কাজ ছেড়ে সব ভাগে।

পড়ানো এবং থাপড়ানো
পার্থক্য নয় বেশি,
একটা থ-এর জন্য রে ভাই
হয় যে রেষারেষি।

সৎ-সততা সবার চাওয়া
ভালোর আশায় হয়তো,
সৎ-ও ভালো মা-ও ভালো
সৎ-মা তবে নয়তো।

1 Jun 2015

গান: মায়ের ছায়া

মায়ের ছায়া
ওয়াহিদ জামান


তোমার মায়ায় তোমার ছায়ায় - থাকতে যে মন চায়,
মাগো তুমি কোথায় আছো - কোন সে নিরালায়।।

ফজর হলে আমার মাগো - ডাকতো মায়ার সুরে,
নামাজ পড়তে যারে বাবা - মসজিদ নয়তো দূরে।।
নামাজ শেষে মক্তবে যাস (২) থাকবে খোদা সহায় - ঐ

30 May 2015

ছড়া: গোল্ডেন রেজাল্ট

গোল্ডেন রেজাল্ট
ওয়াহিদ জামান


তোমরা যারা পাশ করেছ
গোল্ডেন রেজাল্ট নিয়ে,
মাথাটাকে নতো করো
লম্বা সেজদা দিয়ে।

মেধা তোমায় দান করেছেন
মহান আল্লাহ তা’লা,
প্রথম ওহী দিলেন তিনি
জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালা।

এই পাওয়াটাই শেষ পাওয়া নয়
সামনে আরো আছে,
তাওফীক চেয়ে দোয়া করো
আল্লাহ তা’লার কাছে।

বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়
অনেক লড়তে হবে,
সবখানেতেই সফল হলে
কীর্তি তোমার রবে।

23 May 2015

ছড়া: চরম গরম

চরম গরম
ওয়াহিদ জামান


পড়ছে গরম
লাগছে চরম
পুড়ছে দেহের চামড়া,

হালকা কামে
ভিজছি ঘামে
যেন সিদ্ধ আমড়া।

জৈষ্ঠ্যের দুপুর
হাঁপায় কুকুর
দম যেন যায় উড়ে,

গাছের ছায়ায়
শীতল মায়ায়
হৃদয় যায়গো জুড়ে।

লজ্জা শরম
হচ্ছে নরম
পুরুষ উদোম গায়ে,

তালের পাখা
হাতে রাখা
নারী নগ্ন পায়ে।

পুকুর পেলে
দুষ্ট ছেলে
দিচ্ছে তাতে ঝাপ,

লেবুর পানি
দিচ্ছে নানী
তরমুজ আনে বাপ।

আম কাঁঠালে
লিচুর ডালে
গ্রীষ্ম দেয় যে সাড়া,

জামরুল তালে
জাম ও বেলে
জাগায় ফলের পাড়া।

ছড়া: হেকমত মানে


হেকমত মানে
ওয়াহিদ জামান

হেকমত মানে নয়তো রে ভাই
মিথ্যা পথে চলা,
হেকমত হলো সত্যটাকে
হালকা ঘুরিয়ে বলা।

হেকমত মানে নয়তো রে ভাই
ঘরের কোণে নামাজ,
মসজিদে যাও নইলে হবেন
আল্লাহ রাসুল নারাজ।

হেকমত মানে নয়তো রে ভাই
বন্ধ করা কাজ,
নতুন ভাবে করতে হবে
নেইতো সেথায় লাজ।

হেকমত মানে নয়তো রে ভাই
অমিল কথায় কাজে,
হেকমত হলো সৎ-সততা
থাকবে ভাঁজে ভাঁজে।

হেকমত নয়তো মৃত্যু ভয়ে
ইসলাম ছেড়ে দেয়া,
হেকমত হলো লড়ে লড়ে
চলবে জীবন খেয়া।

19 May 2015

ছড়া: নারী নেত্রীর দেশ

নারী নেত্রীর দেশ
ওয়াহিদ জামান


আমার মায়ের স্বাধীনতা
আসবে কবে বলো,
রান্নাঘরের চুলোর ধারেই
জীবন কেটে গেল।

যাননি কভু মেম্বার হতে
চাননি বাসের সিট,
মিছিল মিটিং করতে হলে
লজ্জায় হবেন ফিট।

আমার বোনের স্কুল পথে
হাজার বাঁধা থাকে,
বখাটেরা ডিস্টার্ব করে
রাস্তার বাঁকে বাঁকে।

যৌতুক ছাড়া হয়না বিয়ে
আমার গরীব বোনের,
হিসাব নাইতো ধর্ষিত আর
নির্যাতিত জনের।

জন্ম থেকেই দেখছি আমি
নারী নেত্রীর দেশ,
তবু কেন নেইকো নারীর
অধিকারের লেশ।

17 May 2015

ছড়া: রঙিন পথে

রঙিন পথে
ওয়াহিদ জামান


সবার কাছে
স্বপ্ন আছে
আমার শুধু নেই,

ছিলাম যেমন
থাকবো তেমন
আছি ভালো সেই।

বলেন গুরু
করো শুরু
জীবন আগে গড়ো,

চড়বে গাড়ি
গড়বে বাড়ি
হবে অনেক বড়।

জীবন নাকি
দিবে ফাঁকি
লাভ কি বলো তবে,

মরবে তুমি
ধরবে ভূমি
বিদায় নিতে হবে।

তাইতো বলি
ধীরে চলি
সস্তা রঙিন পথে,

ডাকবে যখন
চড়বো তখন
আখিরাতের রথে।

15 May 2015

ছড়া: রোহিঙ্গা নয় মানুষ

রোহিঙ্গা নয় মানুষ
ওয়াহিদ জামান


ক্ষুুধার্ত ঐ মানুষগুলো
ভাসছে সাগর বুকে,
এমন করে অসহায়রা
মরবে ধুকে ধুকে?

মানবতার ব্যবসায়ীরা
গেল কোথায় এখন,
সর্দি-জ্বরে বিবৃতি দেয়
যারা যখন তখন।

সবাই তাদের তাড়িয়ে দেয়
নির্দয় কঠিন ভাবে,
তীরে ভীড়লে ওরা নাকি
লুটে পুটে খাবে।

রোহিঙ্গা নয় মানুষ ওরা
ভাবছে নাতো কেহ,
মুসলিমরাও গেছে ভুলে
একটাই তাদের দেহ।

আল্লাহ খোদা চেয়ে দেখো
তাদের চোখের পানি,
আকাশ থেকে অনেক বড়
তোমার দয়া জানি।

পাঠিয়ে দাও শাসক ওমর
ভাবতে সবার কথা,
কুকুর মরলেও যার মনে
লাগবে বড়ই ব্যথা।

13 May 2015

গান: কাবার ঘরে

কাবার ঘরে
ওয়াহিদ জামান

সুর : আলফাজ হোসেন
কণ্ঠ : মাহফুজ মামুন ও নাসির উদ্দিন আল মামুন

পাগলা হাওয়া, পাগলা হাওয়া - আমায় নিয়ে যারে,
মন পাখিটা চায় যে যেতে  - ঐসে কাবার ঘরে।
পাগলা হাওয়া, পাগলা হাওয়া - আমায় নিয়ে যারে,
মন চাইছে কাবায় গিয়ে বলতে সমস্বরে...
লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা শারিকালাকা লাব্বাইক
লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা শারিকালাকা লাব্বাইক

ছড়া: ধুমকেতুর তালে


ধুমকেতুর তালে
ওয়াহিদ জামান


সত্য ন্যায়ের বিজয় কেতন
আপন হস্তে ধরে,
দুখু মিয়া জন্ম নিলেন
জগৎ আলো করে।

মক্তব থেকে মুয়াজ্জিনী
লেটোর দলের গায়ক,
আসানসোলের রুটির দোকান
তারপর হলেন নায়ক।

সবাই যখন লিখতেন শুধু
ঘুম পাড়ানীর গান,
নজরুল তখন ক্ষেপে গিয়ে
লিখলেন ভাঙ্গার গান।

পদচি‎হ্ন‎ এঁকে দিতেন
অত্যাচারীর গালে,
বিদ্রোহীরা উঠতো জেগে
ধুমকেতুর তালে।

অগ্নি-বীণা, বিষের বাঁশী
নির্ঝরের এই স্রষ্টা,
গানের পাখি যৌবন বাতি
বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা।

তিনি মোদের জাতীয় কবি
সংবিধানে নেই,
আয়রে নবীন সবাই মিলে
আগুন জ্বেলে দেই।

ছড়া: মা

মা
ওয়াহিদ জামান


মাকে ভালোবাসতে আমার
দিবস লাগেনা,
মা তো আমার দুঃখ সুখের
নিত্য ঠিকানা।


মায়ের কাছেই বড় হওয়া
মায়ের হাতে খাওয়া,
মায়ের কাছেই অফুরন্ত
ভালোবাসা পাওয়া।


ছোট্ট বেলায় মায়ের কাছেই
কাটতো সারা রাত,
খাওয়া শেষেই আঁচল দিয়ে
মুছতাম ভেঁজা হাত।


আমার কষ্টে মায়ের চোখে
আসতো চলে পানি,
সুখের বেলায় মায়ের হাসি
জুড়াতো বুক খানি।


মায়ের আদর বাবার শাসন
ভুলে যাবার নয়,
তাদের ভালোবেসে আমি
জান্নাত করবো জয়।

17 Apr 2015

ছড়া: চেয়ারের মান

চেয়ারের মান
ওয়াহিদ জামান


ব্যক্তি ভিসি
হারাক বিচি
দুঃখ নেইকো তাতে,

চেয়ারের মান
হলে খান খান
আঘাত লাগে জাতে।

শিক্ষা গুরু
দুরু দুরু
ভয়ে কাঁপে দেহ,

ছাত্র সমাজ
বিরুদ্ধে আজ
সঙ্গে নেইতো কেহ।

শিক্ষকেরা
দিশেহারা
বিবৃতি দেয় নিন্দার,

ক্ষমতা ঢের
পেলামতো টের
অভিনয়টা জিন্দার।

ছাত্র পেলে
চাঁপে ফেলে
দাপট দেখায় যারা,

সন্ত্রাসীদের
নগ্ন জিদের
সেলাম জানায় তারা ! ?

আহা ! লিঙ্গ হারা
লিঙ্গ হারা তারা।

8 Apr 2015

ছড়া: বোশেখ সংস্কৃতি

বোশেখ সংস্কৃতি
ওয়াহিদ জামান


বোশেখ মানে বছর শুরু
নববর্ষ পালন,
বোশেখ মানে রবি নজরুল
বাউল সাধক লালন।

বোশেখ মানে পান্তা ইলিশ
চিংড়ি মাছের ভর্তা,
বোশেখ মানে ধুতির সাথে
পানজাবী গায় কর্তা।

বোশেখ মানে স্বল্প বসন
পাতলা শাড়ীর বাহার,
বোশেখ মানে ট্যাটু আঁকা
নষ্ট মনের আহার।

বোশেখ মানে ঢোল তবলা
বাঁকা বাঁশের বাঁশি,
বোশেখ মানে প্রেমিক যুগল
বসবে পাশাপাশি।

বোশেখ মানে মেলার নামে
জুয়া খেলার আসর,
বোশেখ মানে নগ্ন হাওয়া
শয়তান চ্যালার বাসর।

এই কি তাবে আসল বোশেখ
বর্ষ বরণ রীতি,
এই কি ছিল আকবরের সেই
বাংলা সনের নীতি।

বোশেখ ছিলো বকেয়া শোধ
পাওনাদারের হাসি,
বোশেখ ছিলো ফসল তুলে
হালখাতাতে চাষী।

সেই বোশেখের সংস্কৃতি
চুরি করল যারা,
জাতীর সাথে মুনাফেকী
শত্রু মোদের তারা।

এখন সময় জাগতে হবে
রুখতে তাদের ছলা,
সংস্কৃতি  ফিরবে তবে
উঁচু করে গলা।

22 Mar 2015

ছড়া: জ্বর সর্দি মাথাব্যথা

জ্বর সর্দি মাথাব্যথা
ওয়াহিদ জামান


জ্বর জ্বর সারা গায়
কিছু ভালো লাগে না,
নাক জুড়ে সর্দিটা
কিছুতেই ভাগে না।

আহা ভার মাথাটা
টিপ টিপ ব্যথাযে,
শুয়ে কাটে দিন-রাত
মুড়িয়ে কাঁথাযে।

পরীক্ষা পরীক্ষা
ক্লাসে ও শরীরে,
প্রস্তুতি জিরো জিরো
চিন্তায় মরি রে।

দোয়া, দোয়া, দোয়া চাই
কই মোর প্রিয়জন?
ক্ষমা চাই, মাফ করো
আল্লাগো প্রতিক্ষণ।

20 Mar 2015

কবিতা: ধর্ষণরাজ্যে ধর্ষিত ক্রিকেট

ধর্ষণরাজ্যে ধর্ষিত ক্রিকেট
ওয়াহিদ জামান


আজব একটা রাজ্য
যেন ধর্ষণের বাণিজ্য।

ধর্ষণ করে মাকে
ধর্ষণ করে মেয়েকে
ধর্ষিত হয় বুড়ি
ধর্ষিত হয় ছুড়ি।

ধর্ষিত হয় ছাত্রী
ধর্ষিত হয় যাত্রী
ধর্ষিত হয় পাত্রী
ধর্ষণ হয় রাত্রি।

ধর্ষণ করে মাঠে
ধর্ষণ করে ঘাটে
ধর্ষণ করে আস্থায়
ধর্ষণ করে রাস্তায়।

ধর্ষিত হয় পুলিশ
ধর্ষিত হয় ফুলিশ
ধর্ষকরা সাংঘাতিক
ধর্ষিত তাই সাংবাদিক।

ধর্ষক কতো বেশী
ধর্ষিত হয় বিদেশী
ধর্ষিত বিশ্ব বিবেক
ধর্ষিত জাতীর আবেগ।

ধর্ষিত ক্রিকেট বোর্ড
ধর্ষিত ক্রিকেট কোর্ট
ধর্ষিত পুরো বিশ্ব
সবাই এখন নিঃস্ব।

বসবাস ধর্ষণের স্বর্গে
নীতি-নৈতিকতা তাই মর্গে।

19 Mar 2015

ছড়া: ভয় নেই বাংলাদেশ

ভয় নেই বাংলাদেশ
ওয়াহিদ জামান


মন খারাপ বাংলাদেশ
মন খারাপ আমার,
আইসিসি আর ভারত
সব শালা চামার।

আইসিসি পাল্টালো
ইন্টারন্যাশনাল নাম,
এখন করে শুধুই
ইন্ডিয়ানদের কাম।

আম্পায়ার সব লায়ার
করলি কিসের লোভ?
একবারও ভাবলি না
বিশ্ববাসীর ক্ষোভ।

প্রকাশ্য ডাকাতি
ছি ছি ইন্ডিয়া,
ধর্ষিত ক্রিকেটের
কই সেই জাঙ্গিয়া?

দূর্নীতির আগুনে
ওরা হবে নিঃশেষ,
সততা আছে তাই
ভয় নেই বাংলাদেশ।

16 Mar 2015

ছড়া: অবিরাম যুদ্ধ

অবিরাম যুদ্ধ
ওয়াহিদ জামান


জেগে গেছে বাংলাদেশী
জাগছে ক্রিকেটার,
ভারত চক্রের রেহাই নেইকো
জাগলে পিকেটার।

দেশকে ধ্বংসের স্বপ্ন তাদের
সফল হবার নয়,
রক্ত দিয়েছি আরো দিবো
করি নাতো ভয়।

বৃটিশ পালায় ব্যাবসা ছেড়ে

ব্যর্থ জীবন নিয়ে,
পাকসেনারাও গেলো চলে
অস্ত্র জমা দিয়ে।

ভারতীয় দালাল চক্রের
আর হবেনা ছাড়,
যেথায় পাবে সেথায় তাদের
মটকে দিবে ঘাড়।

যতই দাপট দেখাও তোমরা
একদিন হবে ক্ষয়,
অবশেষে নিশ্চয় দেখবে
মানবতার জয়।

ছড়া: ক্রিকেট যুদ্ধ

ক্রিকেট যুদ্ধ
ওয়াহিদ জামান


বৃটিশ ছিলো দাদার শত্রু
খতম হয়ে গেছে,
ইস্ট ইন্ডিয়ার ব্যাবসাপাতি
নেইতো তাদের কাছে।

উর্দুভাষী পাকিস্তানী
বাবার শত্রু ছিলো,
যুদ্ধ শেষে হেরে গিয়ে
কদমে ফুল দিলো।

এখন আসছে ভারতীরা
নতুন শত্রু বেশে,
সীমান্তে লাশ সকাল দুপুর
ফেলছে হেসে হেসে।

অস্ত্র পাঠায় মাদক পাঠায়
অবৈধ পথ দিয়ে,
অপরাধীরা আশ্রয় পায়
ঐ সে ভারত গিয়ে।

তাইতো তারা মোদের শত্রু
বীর সেনানী জাগো,
লড়াই হবে ছক্কা-চারে
উইকেট ছেড়ে ভাগো।

14 Mar 2015

বিড়ি : জনপ্রিয় সামাজিক খাবার

বিড়ি : জনপ্রিয় সামাজিক খাবার
ওয়াহিদ জামান
বিড়ি পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক খাবার। একজন খাইলেই আশেপাশের সবাই স্বাদ অনুভব করতে পারে। কী মজা ! তাই না?
বিধানগত দিক দিয়ে বলা যায়, এটা ‘বদ অভ্যাসে কিফায়া’। একজন খাইলেই সবার আদায় হয়ে যায়। তাইতো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি রিপোর্টে দেখানো হয়েছে- ধূমপান জনিত রোগে আক্রান্ত রুগীদের ১৭% ই অধূমপায়ী। কী আশ্চার্য ! তাই না?
ধুমপান না করেও রেহায় নেই রোগ থেকে। কারন- যারা ধূমপান করে তারা মানষিকভাবে এটাকে খারাপ হিসাবে দেখেনা। তাই এটার প্রভাব কম পড়ে। আর যারা ধূমপান করেনা, মানষিকভাবে তারা এর গন্ধকে মেনে নিতে পারেনা। তাই এটা তাদের শরীরের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। সুতরাং বলা যায়- ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হলেও, সবার জন্য নয়। শুধুমাত্র অধূমপায়ীদের জন্য।
এখন করণীয় কী?
যেহেতু ধূমপায়ীদের ক্ষতি কম হয় সেহেতু তাদের উপদেশ দিয়ে লাভ নেই। তাছাড়া তাদের বড় বড় উপমা আছে। যেমন ধরুন- বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি বারাক ওবামাও বিড়িখোর।
ব্যা...ব্যা....ব্যা...
সুতরাং যা করার অধূমপায়ীদেরকেই করতে হবে।

12 Mar 2015

কবিতা: মিথ্যার সাথে বসবাস

মিথ্যার সাথে বসবাস
ওয়াহিদ জামান


মিথ্যা বলি প্রতিদিন
মিথ্যা শুনি প্রতিক্ষণ
মিথ্যা লিখি প্রতিনিয়ত
মিথ্যা পড়ি প্রতিমূহুর্তে।

মিথ্যার ছড়াছড়ি মোবাইলে
মিথ্যার গড়াগড়ি ফেসবুকে
মিথ্যার জড়াজড়ি পত্রিকার পাতায় পাতায়
মিথ্যার হুড়োহুড়ি টিভি সংবাদের পরতে পরতে।

মিথ্যা বলেন ছাত্র
মিথ্যা বলেন শিক্ষক
মিথ্যা বলেন প্রজা
মিথ্যা বলেন রাজা।

প্রেমের নামে মিথ্যা
সেবার নামে মিথ্যা
যেন সত্য গেছে পরবাস
তাই মিথ্যার সাথে বসবাস।

আমায় বোবা বানাও প্রভু
যেন মিথ্যা বলতে না পারি
যেন মিথ্যা পড়তে না পারি।

আমায় পঙ্গু করে দাও মালিক
যেন মিথ্যা লিখতে না পারি
যেন মিথ্যার ডাকে স্তব্ধ থাকি।

আমাকে বধির করে দাও
যেন মিথ্যা না শুনতে হয়
মিথ্যা আর ভালো লাগেনা।


শুধু চোখ দুটি ভালো রেখো মাবুদ
চোখতো আর মিথ্যা দেখেনা
ক্ষমা করো, বাঁচাও, বাঁচাও, বাঁচাও।

9 Mar 2015

ছড়া: জিতে গেছে বাংলাদেশ

জিতে গেছে বাংলাদেশ
ওয়াহিদ জামান


জিতে গেছে মোর বাংলাদেশ
জিতে গেছি আমি,

একই সাথে জিতলো রুবেল
উইকেট অনেক দামী।

জিতে গেছে আমার আবেগ
জিতলো চোখের পানি,
জিতে গেলো ব্যর্থ হওয়া
তামিমের ক্যাচ খানি।

মাহমুদুল্লাহ মাহমুদুল্লাহ
সেঞ্চুরিয়ান তুমি,
লিখালে নাম ইতিহাসে
ধন্য বাংলার ভূমি।

জিতে গেছে মাশরাফি ভাই
ত্যাগী ক্রিকেট নেতা,
ধন্যবাদ দেই সবাইকে তাই
যাদের জন্য জেতা।

বাংলার বাঘ হালুম করে
ঘেউ ঘেউ করেনা,
বিশ্ব মাঝে উঁচু মাথা
কাউকে ছাড়ে না।


7 Mar 2015

আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের ডাক

আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের ডাক
ওয়াহিদ জামান


৭ মার্চ ১৯৭১ সালের এই দিনে রেইসকোর্স ময়দানের (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এই স্থানে বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন।
এ দিন লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের জনসমুদ্রে এই নেতা বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন,
“রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব,
এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো, ইনশাআল্লাহ।
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”

আমার মন বলে বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে হাসিনার অত্যাচার থেকে দেশবাসিকে রক্ষা করতে তিনি আবার মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিতেন।

অনেকে উন্নয়নের কথা বলেন।
আমি বলি-
কোন দস্যু যদি কারো মাকে ধরে নিয়ে প্রতিনিয়ত ধর্ষন করতে থাকে
আর তার ছেলেকে বিরানি পোলাও দিয়ে বুঝাতে থাকে তুমিতো ভালো আছো,
বোকা ছেলের মতো প্রতিবাদ করো কেন?
তখন?
ঠিক তখন যেমন মনে হবে,
আজকের হাসিনার উন্নয়ন দেখে আমারও তাই মনে হয়।
প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাই পেট্রোল বোমায় দগ্ধ মানুষের আহাজারি শুনতে শুনতে,
আর ঘুম থেকে জেগে দেখি
আমার পাশে পড়ে আছে ক্রসফায়ার নাটকের বলি নিরীহ মানুষ।
আমি রাস্তা কি করবো?
আমি সেতু কি করবো?
বিদ্যুৎ কি কাজে লাগবে আমার?
আমার বিরানি ভাত লাগবে না, আমার দেশ মাতৃকা কে ফিরিয়ে দাও।

21 Feb 2015

ছড়া: একুশ নয়তো আট

একুশ নয়তো আট
ওয়াহিদ জামান


ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ
ইংরেজি এক নাম,
জীবন দিলো বাংলার তরে
এই কী তাহার দাম?

ফাল্গুন মাসের আট তারিখে
সব বাঁধন ছিড়ে,
রক্ত দিলো দেশ জনতা
রাজপথের ভিড়ে।

ফাগুন এলে আগুন জ্বলে
মায়ের ভাষা কই?
বিদ্যালয়ে নেইতো এখন
বাংলা ভাষার বই।

উর্দু ছেড়ে হিন্দি ধরে
মডার্ণ শিশুর দল,
টিভি দেখে শিখছে তারা
দাদা বাবুর ছল।

পরের ভাষায় বিচার চলে
আদালত পাড়ায়,
ব্যঙ্গ বাংলা দেখছি কেন
কবিতা ছড়ায়।

রেডিওতে আজব বাংলা
শুনছি আমরা সব,
এফএম জুড়ে জকিদের ঐ
নষ্ট কলোরব।

ফেব্রুয়ারি বাতিল করে
বলো সব ফাগুন,
একুশ নয়তো আট তারিখে
উৎসবে জাগুন।

ছড়া: ভাষা সৈনিক

ভাষা সৈনিক
ওয়াহিদ জামান


ভাষা সৈনিক
ঋণী দৈনিক
দিয়ে গেলে রাষ্ট্রভাষা,

ভাষার বড়াই
করে লড়াই
পেলাম শেষে মাতৃভাষা।

রক্ত ঝিলে
জীবন দিলে
উঁচু রাখলে বাংলা ভাষা,

সালাম-শফিক
বরকত-রফিক
তোমরাই মুক্তির আলো আশা।

যাদের জন্য
বাংলা ধন্য
তাদের তরে ভালোবাসা,

বই পড়াতে
সই করাতে
সবখানে চাই মায়ের ভাষা।

ছড়া:মায়ের ভাষা

মায়ের ভাষা
ওয়াহিদ জামান


মায়ের ভাষা
ভালোবাসা
এই ভাষাতেই কান্না হাসা।


আমার ভাষা
বলছে চাষা
বাংলা আমার সবচে খাসা।


মনের আশা
স্বপ্ন ঠাসা
লিখতে পড়তে বাংলা ভাষা।


পরের ভাষা
সর্বনাশা
বাংলাকে চাই রাষ্ট্রভাষা।

14 Feb 2015

ছড়া: প্রেমের জগৎ

প্রেমের জগৎ
ওয়াহিদ জামান


ভালোবাসা এক জটিল রোগ
প্রেমিক যুগল রোগী,
টিন এজের পোলাপানেরা
ইহার ভুক্তভোগী।


ভার্সিটিতে ছড়ায় এ রোগ
কলেজ থেকেই শুরু,
কেউবা রোগী স্কুল থেকেই
যারা প্রেমের গুরু।


মডার্ণ যুগে ছড়ায় আবার
ফেসবুক-টুইটার থেকে,
মোবাইল আরো সহজ তাই
গেছে তারা পেঁকে।


পার্কে পার্কে ঘুরে তারা
ডেটিং করার জন্য,
সিনেমা দেখতে হলে যায়
কিস করে হয় ধন্য।


চৌদ্দই ফেব্রুয়ারি তাদের
জাতীয় দিবস হয়,
এদিন তারা মনের সুখে
সারাদিন বাইরে রয়।


নিয়ত যদি শুদ্ধ থাকে
বিবাহ হয় শেষে,
নইলে তারা ঘুরে বেড়ায়
পাগলা দেবদাস বেশে।


এইতো হলো প্রেমের জগৎ
সবাই এর বাসিন্দা,
কেউ জড়িত সরাসরি
কারো শুধুই ধান্দা।

ছড়া: ফাগুন

ফাগুন
ওয়াহিদ জামান


আসছে ধরায় ফাগুন
জীর্ণতা সব ভাগুন
জ্বলবে রঙের আগুন
পুড়বে নষ্ট বাগুন
যতই আপনি রাগুন
তাই বলি সব জাগুন
উঠে পড়ে লাগুন
আসছে ফুলের ফাগুন।

ছড়া: প্রেমিক বচন

প্রেমিক বচন
ওয়াহিদ জামান 


স্বৈরাচারী পিতা মাতার
নাইতো অধিকার,
যখন তখন নষ্ট করবে
প্রেমের স্বাধিকার।


প্রেম কে তোমরা ভাবছো বুঝি
নতুন আবিস্কার,
প্রেমতো ছিল আগে থেকেই
বিষয় পরিস্কার। 


প্রেমের পথে আসবে বাধা
আসতে পারে ঝড়,
সহজ নয় উড়িয়ে দেয়া
নয়তো এটা খড়। 


হৃদয় বন্ধন মজবুত থাকলে
নাইকো তাদের ভয়,
যুদ্ধ শেষে নিশ্চয় একদিন
হবে প্রেমের জয়।


এসব হলো প্রেমিক বচন
আসল কথা নয়,
প্রেমের সংসার সুখি হয়না
বিজ্ঞ জনে কয়।

10 Feb 2015

ছড়া: হলুদ খামে

হলুদ খামে
ওয়াহিদ জামান


হলুদ একটা খামে
চন্দ্র তারার দামে
ভালোবাসা পাঠাতে চাই জান পরাণের নামে।

সহজ একটা কামে
ভিজলো শরীর ঘামে
ভালোবাসি লিখতে গিয়েই কলম কেন থামে?

সুপার একটা গামে
জুড়বে ডানে-বামে
সেই আশা কি পূর্ণ হবে এইনা ধরাধামে?

জীবনের সব দামে
ভালোবাসার নামে
অবশেষে পাঠিয়ে দিলাম হলুদ সেই খামে।

ছড়া: ভালোবাসা

ভালোবাসা
ওয়াহিদ জামান


চোখ দুটি ছলছল
জল দেখি টলমল
এই বুঝি নামবে ঝর্ণাধারা,

দৃষ্টিতে ভালো লাগা
ভেবে ভেবে রাত জাগা
স্বপ্নালু মন তাই পাগলপারা।

কি খাওয়া কিযে নাওয়া
আনমনে গান গাওয়া
উস্কো খুস্কো আগোছালো সব,

সারাদিন শুয়ে শুয়ে
ছড়া কাটি কার হয়ে
ভালো লাগে বৃষ্টির ঝুমঝুম রব।

পাখিদের কিচির মিচির
ঘাসের ডগার ঐ শিশির
আরো চাই চাঁদনী রাতের আলো

এই আমার ভালোবাসা
প্রেম দিবো ঠাসা ঠাসা
দেখতে চাই তুমি- কতই ভালো।

ভালোবাসার কে মালিক
ময়না, টিয়া না শালিক?
জান-প্রাণ-পাখি বলে অনেকজন,

সৃষ্টিতে যিনি আমার
রূপ গড়লেন তিনি তোমার
তাই দিলাম তাকেই আমার এই মন।



7 Feb 2015

ছড়া: দাজ্জাল বুড়ি

দাজ্জাল বুড়ি
ওয়াহিদ জামান


সবখানে দেখি শুধু রক্তের ঢেউ,
খেতে বসেছে কি ক্ষুধার্ত কেউ?


ক্ষুধা পেলে রাক্ষস ডাইনি বুড়ি,
মানুষের কাবাব খায় ঝুড়ি ঝুড়ি।


রক্তের জুসে নাকি অনেক মজা,
প্রতিরাতে চাই তার যুবক তাজা।


যেই সেই যুবকে চলে নাতো তার,
দাঁড়ি-টুপি-নামাজি চায় বারবার।


গলায় তার ঝুলানো মস্তক মালা,
সামনে সেই মগজের গরম থালা।


প্রতিদিন নাস্তায় কলিজা ভাজি,
আয়োজন করবে সরকারি কাজী।


হাড্ডির নেহারিতে সুখ টান দিয়ে,
হাত মুছে দেশের পতাকায় গিয়ে।


মানচিত্র আঁকা কার্পেটে বসে,
মানবতা ধ্বংসের হিসাব কষে।


চোখের জ্বলের ঐ বুরহানি খেয়ে,
শেষ করে জাতীয় সংগীত গেয়ে।


একচোখে দেখেনা দাজ্জাল বুড়ি,
আল্লাগো নামাও এই লাল-নীল ঘুড়ি।

6 Feb 2015

ছড়া: ডরকারি

ডরকারি
ওয়াহিদ জামান


রাজনীতি বিহীন সাহিত্য
আর নুন ছাড়া তরকারি,
দুটোই সমান স্বাদ বিহীন হয়
তাইতো এটা দরকারি।

কেউ লেখেন বিরোধী দলের
কেউবা সাজেন সরকারি,
কেউ নেশায় আর কেউবা পেশায়
নয়তো কেহই ডরকারি।

কেউতো লেখেন নিজের ইচ্ছায়
কেউবা অন্যের ভরকারি,
অর্থের মোহে পড়লে আবার
নষ্ট হয় সে ঘরকারি।

5 Feb 2015

ছড়া: মা-বেটার যুদ্ধ

মা-বেটার যুদ্ধ
ওয়াহিদ জামান


মা যখন ডিজিটাল শুনলেই
পাচ্ছে ভীষণ ভয়,
নষ্ট পোলা তখন ক্যামনে
এসব কথা কয়।

ভাইবার বন্ধ, ট্যাংগো বন্ধ
বন্ধ হোয়াটস্ অ্যাপ,
ফেসবুকে নাকি থাকে তার
পতনের রোড ম্যাপ।

পোলা বলে- থ্রিজি’র পরে
আসবে ফোরজি নেট,
মা ভাবে- এটাই বুঝি সেই
আজরাইলের গেট।

দিন ফুরিয়ে যাচ্ছে মায়ের
চারদিক তার রুদ্ধ,
এমন সময় পোলা বাঁধায়
মা-বেটার যুদ্ধ।

3 Feb 2015

ছড়া: ডাইনি খালা

ডাইনি খালা
ওয়াহিদ জামান


হালারে হালা
দূর হ শালা
আগুন জ্বালা আগুন জ্বালা।


কালারে কালা
পঁচা নালা
ল্যাও ঠ্যালা ল্যাও ঠ্যালা।


ধলারে ধলা
ফুলের মালা
অসম শালা অসম শালা।


খেলারে খেলা
শয়তানের চ্যালা
দৌঁড়ে পালা দৌঁড়ে পালা।


পালারে পালা
মারো তালা
ডাইনি খালা ডাইনি খালা।


(নিরার্থক ছড়া)

ছড়া: সংকল্প

সংকল্প
ওয়াহিদ জামান


আল্লার হুকুম মানবো সবাই
থাকবো ভালো কাজে,
মন্দ থেকে আসবো ফিরে
জীবনের সব সাজে।

নামাজ কায়েম করবো মোরা
রোযা করবো আদায়,
যাকাত দিবো গরীব-দুখির
মহৎ হবে হৃদয়।

ভালো কাজের দিবো আদেশ
নিষেধ খারাপ কাজের,
সম্পদ থাকলে মক্কায় গিয়ে
বলবো আমি হাজের।

আখিরাতে পাই যেন ভাই
জান্নাতের মহা সুখ,
দেখতে যেন না হয় মোদের
জাহান্নামের ঐ দুখ।

ছড়া:বই পড়

বই পড়
ওয়াহিদ জামান


হতে চাও বড়
বই তবে পড়
দেশের কল্যাণে নিজেকেই গড়ো।

নতুন নতুন বই
তোমরা গেলে কই
জ্ঞানের আলোয় সব আলোকিত হই।

কবিতা ছড়া
পড়া আর গড়া
ভাবনার সাগরে জ্ঞান ভেলায় চড়া।

উপন্যাস গল্প
প্রবন্ধ স্বল্প
ফিচার কলামে সাজাও রূপকল্প।

30 Jan 2015

ছড়া: বন্দুক যুদ্ধ

বন্দুক যুদ্ধ
ওয়াহিদ জামান


পাঁচ টাকা কেজি নুন
বিরোধী হলেই খুন
দু’টোই সমান সস্তা,

দেখা মাত্রই গুলি
উড়বে মাথার খুলি
ভাসবে লাশের বস্তা।

হত্যার লাইসেন্স পেয়ে
বাড়ি বাড়ি যেয়ে
আনছে তুলে মানুষ,

না দেখিয়ে আটক
করছে অস্ত্র নাটক
নিভায় জীবন ফানুস।

বন্দুক যুদ্ধের খেলা
চলছে রাত্রি বেলা
আতঙ্কে পুরো দেশ,

নেত্রীর বিষাক্ত মুখ
বুঝেনা কারো দুখ
মানবতা নিঃশেষ।

দেশের সবাই পাগল
কিংবা বোকা ছাগল
ভাবছে বুঝি তারা,

তাইতো এক ঘটনা
বারবার হয় রটনা
ভিন্ন ব্যক্তি দ্বারা।


22 Jan 2015

ছড়া: নাশকতার পুরস্কার

নাশকতার পুরস্কার
ওয়াহিদ জামান


নাশকতা ধরিয়ে দিন
লক্ষ টাকার পুরস্কার নিন
ধুম-ধামাকা অফার,


তোমরা যারা বেকার ছেলে
সুযোগটা নাও হেসে খেলে
সহজ একটা ব্যাপার।


যেই ধরাবে তোমায় পেলে
সেই ছাড়াবে জেলে গেলে
খরচা দেবে সরকার,


অর্ধেক টাকা তুমি পাবে
সকল অভাব ঘুচে যাবে
আর কিছু কি দরকার?


বিনামূল্যে থাকা-খাওয়া
উল্টো আরো টাকা পাওয়া
জেলেই মজা হবে,


বিনা পুঁজির ব্যবসা এটা
ঠকবে পাগলা সরকার বেটা
সোজা হবে তবে।

17 Jan 2015

ছড়া: বিডিআর

বিডিআর
ওয়াহিদ জামান


বিএসএফ সীমান্ত ঘেঁষে
গুলি চালায় বাংলাদেশে
হইনা তখন অবাক,

বিজিবি যখন বীর বেশে
মানুষ মারে নিজের দেশে
জাতি তখন নির্বাক।

বিজিবি তো দেশের ছেলে
বুলেট ছুড়বে শত্রু এলে
সীমান্ত নিরাপদ,

কেন তারা বর্ডার ছেড়ে
দেশের ভেতর আসছে তেড়ে
অশান্ত জনপদ।

ভারত সেতো আদি দুশমন
হতে পারে বিরাগভাজন
তাই বলে কি গুলি?

বিডিআর’রা থাকলে পরে
গ্রেনেড পড়তো তোদের ঘরে
উড়তো মাথার খুলি।

কোথায় হারালো বিডিআর
খুঁজে ফিরি তোমায় বারবার
দিতে হবে হুংকার,

ফেলানীরা যদি মরে
লাশ পৌঁছবে তোমার ঘরে
যুদ্ধ হবে দুর্বার।

13 Jan 2015

ছড়া: বিচার

বিচার
ওয়াহিদ জামান


বিচারপতির প্রধান যিনি
তিনিই তো দলকানা,
বিচার আবার কেমন হবে
সবার তা বেশ জানা।

নিজের দলের অপরাধী
মাফ পাবে সহজেই,
বিনা দোষে বিরোধীরা
ধুঁকে ধুঁকে মরবেই।

পুকুরচুরি করে মন্ত্রী
ধরা পড়বে শেষে,
খালাস পেয়ে মুক্ত হবে
আদালতে এসে।

ন্যায়বিচার যে সোনার হরিণ
কোথায় তুমি পাবে?
বিচারকরাই হত্যাকারী
কার কাছে আর যাবে?

বিচার বিভাগ স্বাধীন হলো
লাভ কি বলো তাতে?
দুর্নীতি তো আগের মতোই
আছে সকল খাতে।

মিছিল করো মিটিং করো
মুক্ত করো ভূমি,
আখেরাতে হবে বিচার
নিশ্চিত থাকো তুমি।

12 Jan 2015

ছড়া: রঙ্গমঞ্চ

রঙ্গমঞ্চ
ওয়াহিদ জামান


স্বাধীন স্বাধীন ডাক পাড়ি,
সে এখন বাপের বাড়ি।
বাপতো গেছে কব্বরে,
মালিক করছে কন্যারে।

কন্যার মুখে এত্তো বিষ,
আইন শৃংখলা ডিসমিস।
নিরাপত্তায় বালুর ট্রাক,
খেকশিয়াল নেতার খ্যাক খ্যাক।

বুবুর সাথে চাচার মিল,
শয়তান দু’টো মারলো সিল।
চাচার এখন বয়স শেষ,
মামলা খেয়ে আছে বেশ।

মোনাফেকদের সমন্বয়,
আন্দোলনে পাচ্ছে ভয়।
ভাবীর মাথায় ফ্যাশন কেশ,
রঙ্গমঞ্চের বাংলাদেশ।

11 Jan 2015

ছড়া: ক্ষমতার বায়না

ক্ষমতার বায়না
ওয়াহিদ জামান


রাজনীতি না পেটনীতি
কিছুই বুঝা যায় না,
কথায় কাজে শুধুই যে
ক্ষমতারই বায়না।

বিরোধীদের অবরোধ
আরো থাকে হরতাল,
জনগণের নাই খবর
সবকিছু বেসামাল।

বিরোধী দল দমনে
জেল জুলুম হুলিয়া,
বাকরুদ্ধ গণমাধ্যম
লাজ শরম ভুলিয়া।

মিথ্যা কথার ফুলঝুরি
নেতা নেত্রীর মুখে,
এরাই নাকি কষ্ট পায়
জনগণের দুখে।

জেগে ওঠো জনতা
রুখতে হবে এবার,
দেশপ্রেমের শপথ নিয়ে
যুদ্ধ করো দুর্বার।

8 Jan 2015

ছড়া: পপুলেশন সায়েন্স

পপুলেশন সায়েন্স
ওয়াহিদ জামান


জনসংখ্যা বা জনগণ
ইংরেজিতে পপুলেশন
সরকার করে গণন,

সায়েন্স বলতে বিজ্ঞান বুঝায়
তত্ত্ব তার ব্যাবহারিক চায়
গড়তে জাতির মনন।

এণ্ড ব্যবহার যুক্ত করতে
এবং অর্থে পড়তে লিখতে
যুক্ত আমরা সবাই,

হিউম্যান বলতে বুঝবে মানুষ
থাকবে তাদের মান এবং হুশ
কোন ভেদাভেদ নাই।

সম্পদ অর্থে রিসোর্স আসে
থাকে সেটা মানব পাশে
মানুষ প্রধান সম্পদ,

ডেভেলপমেন্টের একটাই পণ
মানব সম্পদের উন্নয়ন
সমৃদ্ধ জনপদ।


7 Jan 2015

ছড়া: ফেলানী

ফেলানী
ওয়াহিদ জামান


ফেলানীরে ফেলানী
আমরা তোমায় ভুলিনি
বিচার একদিন হবে,

কাঁটাতারে ঝুলছে দেশ
নির্যাতনের নাইকো শেষ
তিমির কাটবে কবে?

সীমান্তের বাড়াবাড়ি
জল নিয়ে কাড়াকাড়ি
আর কতো ছলনা,

মাদকের ছড়াছড়ি
মরনাস্ত্রের নাই জুড়ি
বন্ধ কি হবে না?

ছিটমহল বিনিময়ে
পাশের মানচিত্র জয়ে
পটু অনেক দাদা,

পাবে না ক্ষমা তুমি
মুক্ত হবেই এই ভূমি
মরবি হারামজাদা।

4 Jan 2015

ছড়া: রুদ্ধ দেশের মাটি

রুদ্ধ দেশের মাটি
ওয়াহিদ জামান

ক্ষমতার মালিক জনগণ
সভা-সমাবেশ প্রতিক্ষণ
কই সে গণতন্ত্র?

ক্ষমতার মোহে একজনা
সভা-সমাবেশ চলবেনা
সরকার দলের মন্ত্র।

কেউবা রোগী হাসপাতালের
কেউ বাসিন্দা গহীন জেলের
বদ্ধ বিরোধী দল,

মুখে মুখে মানবতা
এটাই নাকি স্বাধীনতা
সরকারের আজব ছল।

দেশ বড় না তুমি বড়
কিসের আশায় জীবন গড়ো
রুদ্ধ দেশের মাটি,

স্বৈরাচারকে খতম করে
আসবে ফিরে আপন ঘরে
তবেই তুমি খাঁটি।