30 May 2015

ছড়া: গোল্ডেন রেজাল্ট

গোল্ডেন রেজাল্ট
ওয়াহিদ জামান


তোমরা যারা পাশ করেছ
গোল্ডেন রেজাল্ট নিয়ে,
মাথাটাকে নতো করো
লম্বা সেজদা দিয়ে।

মেধা তোমায় দান করেছেন
মহান আল্লাহ তা’লা,
প্রথম ওহী দিলেন তিনি
জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালা।

এই পাওয়াটাই শেষ পাওয়া নয়
সামনে আরো আছে,
তাওফীক চেয়ে দোয়া করো
আল্লাহ তা’লার কাছে।

বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়
অনেক লড়তে হবে,
সবখানেতেই সফল হলে
কীর্তি তোমার রবে।

23 May 2015

ছড়া: চরম গরম

চরম গরম
ওয়াহিদ জামান


পড়ছে গরম
লাগছে চরম
পুড়ছে দেহের চামড়া,

হালকা কামে
ভিজছি ঘামে
যেন সিদ্ধ আমড়া।

জৈষ্ঠ্যের দুপুর
হাঁপায় কুকুর
দম যেন যায় উড়ে,

গাছের ছায়ায়
শীতল মায়ায়
হৃদয় যায়গো জুড়ে।

লজ্জা শরম
হচ্ছে নরম
পুরুষ উদোম গায়ে,

তালের পাখা
হাতে রাখা
নারী নগ্ন পায়ে।

পুকুর পেলে
দুষ্ট ছেলে
দিচ্ছে তাতে ঝাপ,

লেবুর পানি
দিচ্ছে নানী
তরমুজ আনে বাপ।

আম কাঁঠালে
লিচুর ডালে
গ্রীষ্ম দেয় যে সাড়া,

জামরুল তালে
জাম ও বেলে
জাগায় ফলের পাড়া।

ছড়া: হেকমত মানে


হেকমত মানে
ওয়াহিদ জামান

হেকমত মানে নয়তো রে ভাই
মিথ্যা পথে চলা,
হেকমত হলো সত্যটাকে
হালকা ঘুরিয়ে বলা।

হেকমত মানে নয়তো রে ভাই
ঘরের কোণে নামাজ,
মসজিদে যাও নইলে হবেন
আল্লাহ রাসুল নারাজ।

হেকমত মানে নয়তো রে ভাই
বন্ধ করা কাজ,
নতুন ভাবে করতে হবে
নেইতো সেথায় লাজ।

হেকমত মানে নয়তো রে ভাই
অমিল কথায় কাজে,
হেকমত হলো সৎ-সততা
থাকবে ভাঁজে ভাঁজে।

হেকমত নয়তো মৃত্যু ভয়ে
ইসলাম ছেড়ে দেয়া,
হেকমত হলো লড়ে লড়ে
চলবে জীবন খেয়া।

19 May 2015

ছড়া: নারী নেত্রীর দেশ

নারী নেত্রীর দেশ
ওয়াহিদ জামান


আমার মায়ের স্বাধীনতা
আসবে কবে বলো,
রান্নাঘরের চুলোর ধারেই
জীবন কেটে গেল।

যাননি কভু মেম্বার হতে
চাননি বাসের সিট,
মিছিল মিটিং করতে হলে
লজ্জায় হবেন ফিট।

আমার বোনের স্কুল পথে
হাজার বাঁধা থাকে,
বখাটেরা ডিস্টার্ব করে
রাস্তার বাঁকে বাঁকে।

যৌতুক ছাড়া হয়না বিয়ে
আমার গরীব বোনের,
হিসাব নাইতো ধর্ষিত আর
নির্যাতিত জনের।

জন্ম থেকেই দেখছি আমি
নারী নেত্রীর দেশ,
তবু কেন নেইকো নারীর
অধিকারের লেশ।

17 May 2015

ছড়া: রঙিন পথে

রঙিন পথে
ওয়াহিদ জামান


সবার কাছে
স্বপ্ন আছে
আমার শুধু নেই,

ছিলাম যেমন
থাকবো তেমন
আছি ভালো সেই।

বলেন গুরু
করো শুরু
জীবন আগে গড়ো,

চড়বে গাড়ি
গড়বে বাড়ি
হবে অনেক বড়।

জীবন নাকি
দিবে ফাঁকি
লাভ কি বলো তবে,

মরবে তুমি
ধরবে ভূমি
বিদায় নিতে হবে।

তাইতো বলি
ধীরে চলি
সস্তা রঙিন পথে,

ডাকবে যখন
চড়বো তখন
আখিরাতের রথে।

15 May 2015

ছড়া: রোহিঙ্গা নয় মানুষ

রোহিঙ্গা নয় মানুষ
ওয়াহিদ জামান


ক্ষুুধার্ত ঐ মানুষগুলো
ভাসছে সাগর বুকে,
এমন করে অসহায়রা
মরবে ধুকে ধুকে?

মানবতার ব্যবসায়ীরা
গেল কোথায় এখন,
সর্দি-জ্বরে বিবৃতি দেয়
যারা যখন তখন।

সবাই তাদের তাড়িয়ে দেয়
নির্দয় কঠিন ভাবে,
তীরে ভীড়লে ওরা নাকি
লুটে পুটে খাবে।

রোহিঙ্গা নয় মানুষ ওরা
ভাবছে নাতো কেহ,
মুসলিমরাও গেছে ভুলে
একটাই তাদের দেহ।

আল্লাহ খোদা চেয়ে দেখো
তাদের চোখের পানি,
আকাশ থেকে অনেক বড়
তোমার দয়া জানি।

পাঠিয়ে দাও শাসক ওমর
ভাবতে সবার কথা,
কুকুর মরলেও যার মনে
লাগবে বড়ই ব্যথা।

13 May 2015

গান: কাবার ঘরে

কাবার ঘরে
ওয়াহিদ জামান

সুর : আলফাজ হোসেন
কণ্ঠ : মাহফুজ মামুন ও নাসির উদ্দিন আল মামুন

পাগলা হাওয়া, পাগলা হাওয়া - আমায় নিয়ে যারে,
মন পাখিটা চায় যে যেতে  - ঐসে কাবার ঘরে।
পাগলা হাওয়া, পাগলা হাওয়া - আমায় নিয়ে যারে,
মন চাইছে কাবায় গিয়ে বলতে সমস্বরে...
লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা শারিকালাকা লাব্বাইক
লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা শারিকালাকা লাব্বাইক

ছড়া: ধুমকেতুর তালে


ধুমকেতুর তালে
ওয়াহিদ জামান


সত্য ন্যায়ের বিজয় কেতন
আপন হস্তে ধরে,
দুখু মিয়া জন্ম নিলেন
জগৎ আলো করে।

মক্তব থেকে মুয়াজ্জিনী
লেটোর দলের গায়ক,
আসানসোলের রুটির দোকান
তারপর হলেন নায়ক।

সবাই যখন লিখতেন শুধু
ঘুম পাড়ানীর গান,
নজরুল তখন ক্ষেপে গিয়ে
লিখলেন ভাঙ্গার গান।

পদচি‎হ্ন‎ এঁকে দিতেন
অত্যাচারীর গালে,
বিদ্রোহীরা উঠতো জেগে
ধুমকেতুর তালে।

অগ্নি-বীণা, বিষের বাঁশী
নির্ঝরের এই স্রষ্টা,
গানের পাখি যৌবন বাতি
বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা।

তিনি মোদের জাতীয় কবি
সংবিধানে নেই,
আয়রে নবীন সবাই মিলে
আগুন জ্বেলে দেই।

ছড়া: মা

মা
ওয়াহিদ জামান


মাকে ভালোবাসতে আমার
দিবস লাগেনা,
মা তো আমার দুঃখ সুখের
নিত্য ঠিকানা।


মায়ের কাছেই বড় হওয়া
মায়ের হাতে খাওয়া,
মায়ের কাছেই অফুরন্ত
ভালোবাসা পাওয়া।


ছোট্ট বেলায় মায়ের কাছেই
কাটতো সারা রাত,
খাওয়া শেষেই আঁচল দিয়ে
মুছতাম ভেঁজা হাত।


আমার কষ্টে মায়ের চোখে
আসতো চলে পানি,
সুখের বেলায় মায়ের হাসি
জুড়াতো বুক খানি।


মায়ের আদর বাবার শাসন
ভুলে যাবার নয়,
তাদের ভালোবেসে আমি
জান্নাত করবো জয়।